আলোর বিচ্ছুরণে উদ্ভাসিত বিস্তৃত চারিপাশ
হরহামেশাই জীবনের স্পন্দন অনুভূতির অবকাশ।
কিঞ্চিৎ আশা রাখে বাচিয়ে বিলুপ্তিপ্রায় সত্ত্বাকে
মুক্ত বিহঙ্গের উচ্ছ্বলতা রঙিন করে বসুন্ধরাকে।
আলো আঁধারের মিষ্টি খেলায় হঠাৎ মুহুর্মুহু বর্ষণ
প্রকৃতির রুপ তাই আজো দ্ব্যর্থহীন শত বিশ্লেষণ।
কৃঞ্চচূড়া গাছের ডালে উড়ে লাল নীল প্রজাপতি
নীলাদ্রি চোখে অঙ্কিত স্বপ্ন স্ফটিক লয়ে দ্রুতি।
ব্যর্থতার অবসান ঘটিয়ে হাজারো গল্পের উত্তরণ
উত্তর থেকে পূর্ব-পশ্চিমে আজ দক্ষিণা সমীরণ।
বেসুরা পাখালির অপরিচিত সুরে লাগে না আজ অস্বস্তি
খোলস মাঝে নিশ্চিতে থাকা শামুকের মতন পরিতৃপ্তি।
নিরিবিলি উঠোন কিংবা কোলাহলপূর্ণ গণচত্বর
নীল নীলীমায় প্রাণ ভরে শ্বাস কেটে যায় দ্বিপ্রহর
কটমটে রোদে মিলিয়ে যায় বেকার থাকা সন্ধ্যায়
পার্কে বসে দাদুভাই সদা নাতনির ফেরার অপেক্ষায়
সমান সমান কদমে অতিক্রান্ত দূরত্ব থমকে যায় বাঁকে
থামিয়ে দেয়া পুষ্পের স্ফুটনে মাতৃঅস্তিত্ব তবুও ডাকে
পাশকাটিয়ে এগিয়ে চলা সম্মানিত মানবঅস্তিত্ব
ভালোবাসার কাছে অহম-দম্ভ সবই আজ পরাভূত