শ্যাওলা পড়া পরিত্যক্ত দেয়ালে আবছা লেখায় রয়ে গেছে কিছু কবিতা
প্রজ্ঞাময় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কবিরা আজ হারিয়ে গেছে বহুদিন হলো।
ক্ষোভে আর অপমানে সেই যে কবে শহর ত্যাগ করেছিলো তারা
আজ আর কেউ নেই, কেউ নেই যে শহরের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাচীরকে দিবে পাহারা।
স্বার্থান্বেষী সুশীলরা কখনো কখনো করে লোক দেখানো বিলাপ
যারা গড়ে তুলেছিল নান্দনিকতার সাম্রাজ্য আজ নাই তাদের আলাপ।
বিলুপ্তপ্রায় কিছু কবিতা পড়ে বিমোহিত প্রাণগুলো আজও তাদের অপেক্ষায়
কি নিখুঁতভাবে শব্দের মহিমা উপস্থাপন করেছিলো তারা আমাদের পারিপার্শ্বিকতায়।
সাদামাটা, একঘেয়ে আর একইরকম আলাপনে ভরে গেছে নব্য সাহিত্য সম্ভার
বিশাল আয়োজনে দুর্বল উপকরণে সত্যের উদগিরণকে ঢেকে রাখার প্রয়াস।
মুদ্রার উল্টাপিঠ দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জাতিকে অসাধারণ সাহিত্যকর্ম থেকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা
অবহেলা আর প্রকট অপবাদে আপামর জনতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে সবগুলো কবিতা।
তারপর হঠাৎ বেখেয়ালী মনে হাঁটা বালক আচমকা খুঁজে পায় কিছু কবিতা
যে কবিতা গুলো অচেনা, অন্যরকম কিন্তু জীবনের কথা বলে,
যে কবিতাগুলো লোক দেখানো নয়, অবজ্ঞা করার মতন নয়
বরং সত্যিকারের সমস্যার সমাধান করার কথা বলতে পারে।
বেখেয়ালী বালক বারবার পড়ে কুঁড়িয়ে পাওয়া কবিতাগুলো
আর ভাবে কিভাবে কি করে আমাদের এই কবিতা গুলো আমাদের থেকেই নিচিহ্ন হয়ে গেলো?
যে কবিতাগুলো আমাদের মাথা উঁচু করিয়ে পৃথিবীতে চলাত, সেখানে দাসত্বের কবিতা আর মন মানসিকতায় কিভাবে সব দাসত্ব জায়গা করে নিলো।
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে শ্যাওলা গুলো শুকিয়ে গেছে, বালক ভাবছে এভাবে একদিন দাসত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে আসবে আবার হারিয়ে যাওয়া কবিতাগুলোর দিন।