Wednesday 14 September 2022

মাঝ দরিয়ার আর্তনাদ


জীর্ণ সময় শীর্ণ প্রহর অলক্ষুণে কলরব মুহুর্তেই নিস্তব্ধ সব

রোগা কালে ভোগা দেহ গোধূলির শুরুতেই ফুসে উঠা ক্ষোভ, 

জ্বলে উঠা আগুন, গলে পড়া লাভা মুহুর্তেই সব শেষ

অদৃশ্য অবয়ব নিঃশেষ করে সব, মুহূর্ত বিদঘুটে রেশ। 


সুক্ষ্ম প্লটে রূক্ষ আচঁড়ে সম্ভাব্য ঘটনার প্রারম্ভিকতা

সাবলীল ঘটনার বর্ণায়নে ধীববাহে কেটেছে জড়তা, 

ঝুম বৃষ্টি ঘুম এনে দেয় দিকহীন মাঝ দরিয়ার প্রান্তরে

মেলবে পাল হাওয়ায় মাঝি, ছুটবে নৌকা বন্দরে। 


মাঝ দরিয়া মাঝি বৈইঠা বাহে যান্ত্রিকতার অতলায়

তীরের হদিস নিরুদ্দেশে বেঁচে থাকার ব্যকুলতায়, 

নীল দরিয়ায় নীলের মাঝে ছোপ ছোপ লাল রক্ত 

কোপের ঘায়ে পোকা ধরেছে নিথর শরীর আজ শক্ত। 


একাকীত্বের খুনে ধরা মাথা নির্ঘুম রাত জাগা তপস্যা 

চিন্তিত মাঝি, বিদঘুটে হাসি প্রাণনাশের শত আশঙ্কা, 

প্যাচানো ঘটি মুড়ানো বটি বিচ্ছিন্ন বাজপাখির মুন্ড

কালাজাদুর খোলামেলা গ্রাস পাটাতনগুলো খন্ড খন্ড। 


অতল দরিয়ার মাতাল অনুভূতির গা গুলানো অন্তর্যোগ

শর্প ছোবলে রাত পোহাল দেহ হতে আত্মার বিয়োগ, 

রক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া পালে তবু ক্ষীণ ভালোবাসা 

মাঝ দরিয়ার আর্তনাদে আজও সবই যেন ধোঁয়াশা। 

Sunday 4 September 2022

কল্পনাপাতের উদ্গীরণ

বাঁকা চোখে লুকিয়ে থাকা দূর পথিকের অচেনা গল্প

রাঙা রোদে ভাঙ্গা ঘরে সুক্ষ্ম চাহুনির নিখুঁত শিল্প, 

ঝাপসা আকাশে নরম বাতাসে থামিয়ে থামিয়ে ভাসা

কালচে মাদুরে শক্ত উঠানে প্রাণ স্বচ্ছল গাঢ় প্রত্যাশা। 


ঘুমের চাদরে জড়িয়ে থাকা আবছায়া অবেলার স্বপ্ন

বাতাসের হেলুনিতে ঝিরিঝিরি শব্দ এই সন্ধ্যা বেলায়,  

চাপা গিরিখাতের বাঁকা পথে প্রস্তরগুলো অবহেলায়

মহাশূন্য পানে তাকিয়ে থাকা উদ্যোমী চোখগুলো প্রহরগুণে। 


পিষে যাওয়া হাজারো গল্প হারায় অচিন  ঠিকানায়

ভুলে যাওয়া গন্তব্য খুঁজে পায় অন্যকেউ অজ্ঞাতনামায়, 

চেতনার সূক্ষ্মতম আবেশে অচেনা ব্যক্তিত্বের উত্থান

চিরায়ত মেঘের মাঝে ঘূর্ণিচক্রের কাব্যিকতার আহ্বান। 


রুপালি রোদে চিকচিক করে শহর সকাল সন্ধ্যা সারাবেলা

আজো অজানা কিসের আবেশে আর্দশের সাথে ধূলিখেলা, 

ঝিমানো শরীরে রাঙানো আবরণে শত আশার ফুলঝুরি

মাতাল দেহে বেতাল ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয় যে মহামারী । 


ঝুলন্ত অস্তিত্বে প্রায়শ্চিত্তের কফিনে ধবধবে কালো দাগ

নিখোঁজে নিভৃতে আড়ালের শত চেষ্টায় প্রচেষ্টার ডালা মেলে, 

ঘুমহীন রাত জাগা, নির্ঘুম কল্পনায় খুঁজে বেড়ায় অস্তিত্ব 

ব্যস্ততার মহা গ্লানিতে নির্জীব অনুভূতি প্রতিনিয়ত অবনমিত।  

গল্পদাদুর আসর

বহুকাল রবে বলা না বলার শত সম্ভবনার গল্প কাহিনি

তবুও আধারে, গোধূলি লগ্নে বহুকাল ধরে কথাগুলো রটেনি, 

বহুকাল ধরে বহে নিরবধি পুনরাবৃত্ত কল্যাণের সুর

সকাল সন্ধ্যা দুর্বার প্রচেষ্টা পূর্ণ হস্তে যেতে হবে বহুদূর । 


পুরোনো গল্পকাহিনী নতুন করে বলা হলো কতবার

নতুনত্বের ব্যর্থ বোধনে মুখ ফিরিয়ে নেয় যে শতবার, 

জীবনপাতের শেষ লগ্নে তাই গল্পদাদু বড় যে একা

কোলাহলময় গল্পের আসর নাতনি বিহীন ধুধু ফাঁকা । 


ভরা যৌবনে মুখরিত আসরে গল্প শুনতে হুড়োহুড়ি 

মরা বৈশাখে জীবন সায়াহ্নে গল্প শুনাটাই বাড়াবাড়ি , 

সেকালের বসন্তের বিকালে ভীড়ের মাঝে শুনতে হতো গল্প 

অত্যাধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় বের হয়েছে কত বিকল্প । 


শূন্যতার মাঝে অতীত যে ডাকে মায়া ভরা আহ্বানে

নব জাগরণ আর বিস্মৃতির দ্বন্দ্বে পড়েছে মাঝখানে, 

নব সৃষ্ট ঐশ্বর্যের ভিড়ে ঐতিহ্য আজ এককোণে  অন্ধকার নীড়ে

আবারো শিকড়ের টানে ফিরবে মানুষ হারাবে গল্পের ভীড়ে। 

সাঁঝবেলায় জোনাকিদের গল্প

জোনাকির আলোয় লেখা অমাবস্যার গানে ফুটে উঠে বিরহ জেনে কিংবা না জেনে বলা দুঃখবিলাস মিলে যায় প্রত্যহ, জল ছিটানো ফোয়ারার মতন সাময়িক স্নিগ্ধতা আসে...