জীর্ণ সময় শীর্ণ প্রহর অলক্ষুণে কলরব মুহুর্তেই নিস্তব্ধ সব
রোগা কালে ভোগা দেহ গোধূলির শুরুতেই ফুসে উঠা ক্ষোভ,
জ্বলে উঠা আগুন, গলে পড়া লাভা মুহুর্তেই সব শেষ
অদৃশ্য অবয়ব নিঃশেষ করে সব, মুহূর্ত বিদঘুটে রেশ।
সুক্ষ্ম প্লটে রূক্ষ আচঁড়ে সম্ভাব্য ঘটনার প্রারম্ভিকতা
সাবলীল ঘটনার বর্ণায়নে ধীববাহে কেটেছে জড়তা,
ঝুম বৃষ্টি ঘুম এনে দেয় দিকহীন মাঝ দরিয়ার প্রান্তরে
মেলবে পাল হাওয়ায় মাঝি, ছুটবে নৌকা বন্দরে।
মাঝ দরিয়া মাঝি বৈইঠা বাহে যান্ত্রিকতার অতলায়
তীরের হদিস নিরুদ্দেশে বেঁচে থাকার ব্যকুলতায়,
নীল দরিয়ায় নীলের মাঝে ছোপ ছোপ লাল রক্ত
কোপের ঘায়ে পোকা ধরেছে নিথর শরীর আজ শক্ত।
একাকীত্বের খুনে ধরা মাথা নির্ঘুম রাত জাগা তপস্যা
চিন্তিত মাঝি, বিদঘুটে হাসি প্রাণনাশের শত আশঙ্কা,
প্যাচানো ঘটি মুড়ানো বটি বিচ্ছিন্ন বাজপাখির মুন্ড
কালাজাদুর খোলামেলা গ্রাস পাটাতনগুলো খন্ড খন্ড।
অতল দরিয়ার মাতাল অনুভূতির গা গুলানো অন্তর্যোগ
শর্প ছোবলে রাত পোহাল দেহ হতে আত্মার বিয়োগ,
রক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া পালে তবু ক্ষীণ ভালোবাসা
মাঝ দরিয়ার আর্তনাদে আজও সবই যেন ধোঁয়াশা।