রক্তজবার পাপড়িগুলো খুপড়ি ঘরের এক কোণে রেখে কৃত্রিম আলো মেখে দেই একঘুম নিরবচ্ছিন্ন প্রশান্তিতে
রোগা শরীরে যানজটের শহরে বিশ্রী আবহে হাসিমাখা মুখ নিয়ে সব দুঃখের পাঠ চুকিয়ে ছুটছি প্রচণ্ড ক্লান্তিতে,
রিক্ত হাত ঘামে সিক্ত, শহরের কোলাহল ঠেলে ঘরে আসতে আসতে স্বপ্নগুলো হয় বিরক্ত, নরম মন আজ বাস্তবতার পদাঘাতে হয়ে গেছে শক্ত
রওনা হওয়া ইচ্ছাগুলো বায়না ধরে, চায়না কভু হারিয়ে যেতে এই শহরে, তবুও তারা হারিয়ে যায়, ফিরে আসে পুনরায় শূন্যের প্রান্তরে।
গলিতে গলিতে আজ নতুন রঙের মেলা, রঙতুলি দিয়ে আকাঁ হাজারো আল্পনায় ছেয়ে গেছে জনপদ
গলা পর্যন্ত খাওয়া হবে আজ উৎসবের বাহানায় তরুণ, বৃদ্ধ, বণিক, সৈনিকে মুখরিত হবে আঙিনায়,
গাঢ় রঙের পাঞ্জাবি পড়ে হেঁটে চলা উদ্যমী ছেলের দল, দারুণ কিছু করতে চোখ করে সবসময় ছলমল
গোমড়ামুখী সদা দুঃখী ছেলেটাও আজ হাসতেছে ঝটকা বৃষ্টিতে নিশ্চিন্ত মনে খোলা মাঠে দাড়িয়ে ভিজতেছে।
আবছা আলোয় ঝিমুনি দেয়া ক্লান্ত মস্তিষ্ক আজ বিষণ্ণ, সময়ের নির্মম চাপে হাসিগুলো অবহেলিত
আড়ালে চলে যাওয়া উপন্যাসের বইগুলোতে ধুলো পড়ে এক বিশাল শূন্যতার চিহ্ন আজ প্রতিফলিত,
আজও কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার পার্থক্য বুঝে উঠার সময় পাইনি, ভেবে এসবকিছু অহেতুক নিষ্প্রয়োজন
আচমকা দেখা হওয়া পুরোনো বন্ধুদের সাথে লেকের পাড়ে দেওয়া আড্ডায় হঠাৎ নামে বৃষ্টি অপরাহ্নে।
প্রিয় বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলির হয়ে যাচ্ছে অবসান, কষ্ট নিয়ে গাইতে হচ্ছে বিদায়বেলার গান
প্রতিদিন কত আড্ডা গল্পে কেটে যেত কত বেলা, নীল নীলিমার নিচে সবুজ ঘাসে কাটানো বিকেল বেলা,
পাগলাটে কিছু বন্ধু ছিলো, বিশাল আড্ডাবাজ, পড়ুয়া ছেলেদেরও তর্কের বিষয় ছিলো শিল্প, সাহিত্য কিংবা সমাজ
পচাঁনি যেন শিল্প ছিলো বাদ যায় নি একটি বন্ধুও, কিচিরমিচির করা ভবঘুরেরা শেষবেলায় এসে অশ্রুসিক্ত।
No comments:
Post a Comment