আকাশ তুমি সাক্ষী হও অনিবার্ণ অগ্নিসাক্ষী,
নদী তুমি হও খরস্রোতা হও দিবারাত্রি।
আমি ঊর্ধ্ব গগনেো তাকিয়ে দেখি কেটে গেছে বহুদিন,
অতীতের কথা স্মরণ করে বুকে করে চিনচিন।
সেদিন বিকেলে খেলতে গেলে হতাম দুধভাত ,
জোছনা রাতে তাকিয়ে দেখতাম দূর আকাশের চাদঁ।
সূর্যের আগে উঠতাম মোরা গাইতাম মোরা গান,
মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হতো গোলাপ ফুলের বাগান।
হঠাৎ হওয়া ঝুম বৃষ্টিতে নামতাম দলবল মিলে গোসল করিতে,
মাসজুড়ে আক্রান্ত ঠাণ্ডাসর্দিতে কেটে যেতো দুরন্ত ছেলেবেলা।
আর আজ আমি হাজারো বার চেষ্টা করিয়াও পারি না কভু খেলতে,
সকালের ঐ রোদেলা আলো পারিনা তো আর মাখতে।
শেষ বিকেলের রোদে মাখা ঐ মিষ্টি সুবাস ধারন করতে আমি যে অপরাগ,
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ায় আগেই যে আমায় হতে হয় সজাগ।
নীল প্রজাপতির ডানা মেলে আজ উড়তে মন করে খুব ইচ্ছে,
কেমন কেমন করে যেন বয়সটা বেড়ে যাচ্ছে ।
লাফয়ে লাফিয়ে উঠে পড়তাম জারুল গাছের র্শীষে,
মামা বাড়িতে খেতাম মোরা পান্তা ইলিশ সর্ষে।
বাঁশ বাগানে ভূতের ভয়ে যাওয়া হতো না সেথায়,
হন্যি হয়ে খুঁজতাম শুধু পয়সা পাবো কোথায়।
দুপুরের কড়া রোদ্দুরে বালি করে চিকমিক ,
দূরন্ত বাছুর ধরতে গিয়ে বুক করতো ধিকিধিক।
হাড় কাপাঁনো শীতের মাঝে শো শো করে বয়ে বায়ু,
সকাল সন্ধ্যা ব্যস্ততার মাঝেই কমে যাচ্ছে মোর আয়ু।
ছন্দ ছাড়া গানের মতোই ছন্দ ছাড়া জীবন,
রোজ বিকেলেই ভাবতে থাকি কখন আসবে মরণ।
No comments:
Post a Comment