বহুদিন অবহেলায় থেকে মরিচা পড়া অস্তিত্বটাকে
ঘষে মেজে আবার আগের মতন করার ইচ্ছা বারবার।
দমকা হাওয়ার গা শিরশির করা অনুভূতি ট চলে গেলেই
আবেগটা আজ কাজ করে না, মরিচা দূর করার ইচ্ছে আর হয় না।
ইচ্ছে হয় না মজলুমের আহাজারি শুনতে,
ইচ্ছে হয় না জালিমের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে,
ইচ্ছে হয় না মিথ্যুকের মিথ্যা বয়ানকে ভূলুণ্ঠিত করতে,
ইচ্ছে হয় না, তাই করি না। বুঝেও বুঝি না কারণ বুঝতে ইচ্ছে করে না।
খানিক বিরতিতে আবারো জালিমের থাবা, মজলুমের আহাজারি,
অনেক সহ্য করেছি এবার জালিমকে ধ্বংস করবোই তাড়াতাড়ি।
তারপর আরেকটু উদ্যোমি, এবার একটু বেশি তৎপর,
কালই আধিপত্যবাদকে শূলে চড়াবো প্রথম প্রহর।
তাৎক্ষণিক জালিমের মায়া কান্না, কিভাবে জুলুম হয়ে গেলো সে নিজেও বুঝে নাই,
কেনো মজলুমরা এতো অল্পতেই প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেল চিন্তা করতে পারতেছে না।
অতঃপর অতি সামান্য ভুল ত্রুটির করে,
প্রতিক্রিয়াশীল জনগোষ্ঠীর সামনে জান মালের ভয়ে নাকে খত দিয়ে সবার কাছে বিচার দিলো ভাই।
কিছু বললেই চেইতা উঠো তোমরা, তোমাদের মতন জালিম দেখি নাই,
- বাণীতে ক্ষমতায় থাকা অল্প ত্রুটিতে বিশাল অপমানিত হওয়া তথাকথিত মজলুম নেতাই।
এভাবে বয়ান বদলে যায়, জালিম হয়ে যায় মজলুম,
হ্যাঁ, জালিম হয়ে যায় মজলুম আর মজলুম হয় জালিম।
প্রহসনের নাটকের শ্রেষ্ঠ প্রহসনের মুহুর্তের চেয়েও শ্রেষ্ঠতর প্রহসন চলে এ বাংলায়,
জালিম অবলীলায় মজলুমকে জালিম বলে পার পেয়ে যায়।
আর মজলুমরা নিজেরা আত্মসমালোচনা করে কি ভুল ছিল আমাদের প্রতিক্রিয়ায়,
তারপর কয়েকদিন যায়, শীত শেষ গ্রীষ্ম আসে মজলুমরা সব ভুলে যায়।
আবারো প্রতাপশালী ক্ষমতাশালীরা সুযোগ খুঁজে,
শয়তানি বুদ্ধির উদয় ঘটে, জুলুম চলে মজলুমের উপর।
মজলুম কাঁদে, মুক্তি পেতে চায় জুলুৃম থেকে, সুসংগঠিত শব্দের উচ্চারণে প্রতিবাদ চলে।
সুযোগ পেয়ে যায় জালিম, করে আবারো জালিম মজলুমের নাটকের মঞ্চায়ন,
মজলুমরা আবারো জুলুমের অপবাদ নিয়ে ঘরে ফিরে যায়, গ্রীষ্ম-বর্ষা পেরিয়ে আবারো শীত এসে যায়।
অতঃপর এক শীত ঘুরে আরেক শীত আসে
মজলুমরা নিপীড়িত আর প্রতিক্রিয়াশীলের তকমা খেতে খেতে ক্লান্ত।
জালিমরা তাদের ব কূটবুদ্ধি আর রাজনীতি নিয়ে নিশ্চিত,
শীতের পরে শীত যায়, তারপরে শীত তারপরের....
এরপর একটা শীত আসে যে শীতের অপেক্ষাই মজলুমরা এতোদিন ধরে করছিলো,
সেদিন আর জালিমরা মায়া কান্না করে পার পায় না।
সেদিন জালিমের কোনো বয়ানই আর ধোপে টিকে না,
জালিম নিজেকে মজলুম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার শক্তি হারায়ে ফেলে,
মজলুম নিজেকেই দোষী ভাবার অভ্যাস মাটিতেই মিশিয়ে ফেলে।
এবার মজলুমদের পালা, সব অপমান অপদস্ততার হিসেবে মিটানোর খেলা
জালিমের পায়ের তলার মাটি সরে যায়, জালিম ধ্বংস হয়ে যায়।
জালিম ধ্বংস হয়ে গেছে, জালিম ধ্বংস হয়ে গেছে।
জালিমের ধ্বংস হওয়ার এই সংবাদ শোনার অপেক্ষায় ছিলো হাজারো মজলুম অনন্তকাল ধরে।