জোনাকির আলোয় লেখা অমাবস্যার গানে ফুটে উঠে বিরহ
জেনে কিংবা না জেনে বলা দুঃখবিলাস মিলে যায় প্রত্যহ,
জল ছিটানো ফোয়ারার মতন সাময়িক স্নিগ্ধতা আসে জীবন বৈশাখে
জিলাপির ন্যায় প্যাচানো এ জীবনে কেউ নেই যে ভরসা রাখে।
সোজাসাপ্টা কথা বলার মাঝে কতই না বাঁধা বিপত্তি
সাধাসিধে মানুষগুলোর সরলতাকে ভাঙিয়ে কেড়ে নেয় তাদের সম্পত্তি,
সাঁঝবেলায় দখলদাররা করে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত
সকাল হওয়া আগেই জন্মায় নতুন দখলদার মধ্যদুপুরেই শুরু করে দখলদারিত্ব।
রূপার কলসিতে হয়না শব্দ, যার মানে স্বর্ণে পরিপূর্ণ গলা অব্দ
রাতের আঁধারে জোনাকির কিচিরমিচির, কলসির হাতসাফাই করতে সবাই অধীর
রাত পোহালেই জমবে জনতা, কিভাবে চুরি হলো এ নিয়ে হবে অনেক ভণিতা
রকমারি কায়দা কানুন করে খোলা হলো কলসের মুখ,
দলাবাধা মাটি দেখে হয়ে গেল সব উজবুক।
নোঙর ভেড়ানো নৌকার পালে দোলা দেয় আশার আলো
নোংরা নদীর জল ছিলো কোনো এককালে স্বচ্ছ এখন যে পুরোটাই কালো,
নীলভ্রমর আর আসে না নদীতে, বিলুপ্তপ্রায় অশনিসংকেতে
নীলগঞ্জের মতিন মিয়া ডাকে এই নৌকা, যাবে শহরে জলদি নদী পার হইয়া।