Monday, 9 October 2023

সাঁঝবেলায় জোনাকিদের গল্প

জোনাকির আলোয় লেখা অমাবস্যার গানে ফুটে উঠে বিরহ

জেনে কিংবা না জেনে বলা দুঃখবিলাস মিলে যায় প্রত্যহ,

জল ছিটানো ফোয়ারার মতন সাময়িক স্নিগ্ধতা আসে জীবন বৈশাখে

জিলাপির ন্যায় প্যাচানো এ জীবনে কেউ নেই যে ভরসা রাখে।


সোজাসাপ্টা কথা বলার মাঝে কতই না বাঁধা বিপত্তি

সাধাসিধে মানুষগুলোর সরলতাকে ভাঙিয়ে কেড়ে নেয় তাদের সম্পত্তি,

সাঁঝবেলায় দখলদাররা করে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত

সকাল হওয়া আগেই জন্মায় নতুন দখলদার মধ্যদুপুরেই শুরু করে দখলদারিত্ব।


রূপার কলসিতে হয়না শব্দ, যার মানে স্বর্ণে পরিপূর্ণ গলা অব্দ

রাতের আঁধারে জোনাকির কিচিরমিচির, কলসির হাতসাফাই করতে সবাই অধীর

রাত পোহালেই জমবে জনতা, কিভাবে চুরি হলো এ নিয়ে হবে অনেক ভণিতা

রকমারি কায়দা কানুন করে খোলা হলো কলসের মুখ,

দলাবাধা মাটি দেখে হয়ে গেল সব উজবুক।


নোঙর ভেড়ানো নৌকার পালে দোলা দেয় আশার আলো

নোংরা নদীর জল ছিলো কোনো এককালে স্বচ্ছ এখন যে পুরোটাই কালো,

নীলভ্রমর আর আসে না নদীতে, বিলুপ্তপ্রায় অশনিসংকেতে

নীলগঞ্জের মতিন মিয়া ডাকে এই নৌকা, যাবে শহরে জলদি  নদী পার হইয়া।

বিদায়বেলা আবছা গাঢ় বায়না

রক্তজবার পাপড়িগুলো খুপড়ি ঘরের এক কোণে রেখে কৃত্রিম আলো মেখে দেই একঘুম নিরবচ্ছিন্ন প্রশান্তিতে

রোগা শরীরে যানজটের শহরে বিশ্রী আবহে হাসিমাখা মুখ নিয়ে সব দুঃখের পাঠ চুকিয়ে ছুটছি প্রচণ্ড ক্লান্তিতে,

রিক্ত হাত ঘামে সিক্ত, শহরের কোলাহল ঠেলে ঘরে আসতে আসতে স্বপ্নগুলো হয় বিরক্ত, নরম মন আজ বাস্তবতার পদাঘাতে হয়ে গেছে শক্ত

রওনা হওয়া ইচ্ছাগুলো বায়না ধরে, চায়না কভু হারিয়ে যেতে এই শহরে, তবুও তারা হারিয়ে যায়, ফিরে আসে পুনরায় শূন্যের প্রান্তরে।


গলিতে গলিতে আজ নতুন রঙের মেলা, রঙতুলি দিয়ে আকাঁ হাজারো আল্পনায় ছেয়ে গেছে জনপদ

গলা পর্যন্ত খাওয়া হবে আজ উৎসবের বাহানায় তরুণ, বৃদ্ধ, বণিক, সৈনিকে মুখরিত হবে আঙিনায়, 

গাঢ় রঙের পাঞ্জাবি পড়ে হেঁটে চলা উদ্যমী ছেলের দল, দারুণ কিছু করতে চোখ করে সবসময় ছলমল

গোমড়ামুখী সদা দুঃখী ছেলেটাও আজ হাসতেছে ঝটকা বৃষ্টিতে নিশ্চিন্ত মনে খোলা মাঠে দাড়িয়ে ভিজতেছে। 


আবছা আলোয় ঝিমুনি দেয়া ক্লান্ত মস্তিষ্ক আজ বিষণ্ণ, সময়ের নির্মম চাপে হাসিগুলো অবহেলিত

আড়ালে চলে যাওয়া উপন্যাসের বইগুলোতে ধুলো পড়ে এক বিশাল শূন্যতার চিহ্ন আজ প্রতিফলিত,

আজও কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ার পার্থক্য বুঝে উঠার সময় পাইনি, ভেবে এসবকিছু অহেতুক নিষ্প্রয়োজন

আচমকা দেখা হওয়া পুরোনো বন্ধুদের সাথে লেকের পাড়ে দেওয়া আড্ডায় হঠাৎ নামে বৃষ্টি অপরাহ্নে।


প্রিয় বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলির হয়ে যাচ্ছে অবসান, কষ্ট নিয়ে গাইতে হচ্ছে বিদায়বেলার গান

প্রতিদিন কত আড্ডা গল্পে কেটে যেত কত বেলা, নীল নীলিমার নিচে সবুজ ঘাসে কাটানো বিকেল বেলা,

পাগলাটে কিছু বন্ধু ছিলো, বিশাল আড্ডাবাজ, পড়ুয়া ছেলেদেরও তর্কের বিষয় ছিলো শিল্প, সাহিত্য কিংবা সমাজ

পচাঁনি যেন শিল্প ছিলো বাদ যায় নি একটি বন্ধুও, কিচিরমিচির করা ভবঘুরেরা শেষবেলায় এসে অশ্রুসিক্ত।

তীর্যক তেপান্তরে রক্তবর্ণ চিত্রনাট্য

শুষ্ক নদীর রুক্ষ চারপাশ তবু থেমে থাকতে মানা, একা চলতে শত বাহানা

শীর্ষের আহরণের জন্যে পর্বতারোহীরা চেয়ে থাকে অনন্ত দিগন্তে একটানা,

শিশির পড়া দিগন্তে কোনো একসময় চিত্রনাট্যে মূল চরিত্রের আগমন

শান্ত পরিবেশ হঠাৎ অশান্ত হয়, তারপর একটা সময় সবকিছুর অবসান।


রোদেলা দিনে পথে হাঁটলে ভিজে যাবার নেই তো কোনো আশঙ্কা

রুগ্ন দেহে আচমকা বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন, অদ্ভুত, নেই কোনো পরিকল্পনা,

রক্তবর্ণের সূর্যটাও সময়ের পরিক্রমায় অন্ধকার সন্ধ্যায় ঢলে পড়ে

রঙিন গল্পগুলো অসাধারণ হলেও একটা সময় সব একঘেয়ে হয়ে পড়ে।


তন্দ্রাচ্ছন্ন সময়গুলোতে অসহায় লাগে, অবিশ্বাস্য একাকিত্বে অতিবাহিত প্রহরে দীর্ঘকালীন ভাবনা

তবুও আশায় বুক বাধিঁ, তবুও সব পিছুটান হটিয়ে সামনে যাওয়ার ছক আকিঁ, দেখি বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা

তেপান্তরে দাঁড়িয়ে কখনো কখনো অতীতকে স্মরণ করে স্মৃতিকারণ হয়ে আফসোস হয় পুরোনো দিনগুলো নিয়ে

তিলে তিলে গড়া নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবতার নির্মমতায় অনিচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে হই নিজের কাছে হেয়।


তর্কের বিতর্কে মুখরিত চারিপাশ চেনা অচেনার বহু বাকি, রাত্রি নামবার আগেই বাস্তবতা দিয়েছে ফাঁকি

তীব্র আঁধারে আলোর প্রজ্বলন, একটু একটু করে ইতিহাসের সংকলন, সৌভাগ্য আজ দিয়েছে উঁকি,

তীর্যক চাঁদ রেখেছে কথা, এঁকেছে সাফল্যের আল্পনা বেদনার রঙ ধূসর কালো দিয়েছে দারূণ প্রেরণা

তিল তিল করে গড়া চিত্রসমগ্র নিমিষেই চলে যায় আড়ালে নিয়মের বেড়াজালে মুহুর্তেই সবকিছু অচেনা।

আড়ালে অনুশোচনায় বিদ্রোহী কলরব

প্রিয় শহরে রোজ আড্ডাতে বিকেল গড়িয়ে রাত হয় শেষ যাত্রী তার ঘরে ফেরে তবুও

পরিচিত গল্প অসমাপ্ত রেখে ঘরে ফেরা হয় না, জ্যোৎস্নাবিহীন নিকষ কালো রাত্রিতে, 

পার্থিব সৌন্দর্য যেন অনন্ত অফুরন্ত লাগে ঝুম বর্ষায় কিংবা কুয়াশার চাদরে থাকা নগরে

প্রতিদিনের শত ব্যস্ততা ফেলে বিদ্রোহী হতে চাওয়া মন কলুষিত হয় সমাজের নির্মমতায়। 


সাদা পায়রাগুলো একা একা উড়ে, ঘুরে ঘুরে ভিজে ঝুম বর্ষায় এই শহরে

সেকেলে হয়ে যাওয়া রঙ্গিন আলপনার কুঁড়ে ঘরগুলো আর নেই এই প্রহরে, 

সন্ধ্যা বেলার ঘরে ফেরার তাড়না আর নেই এখন যান্ত্রিকতার এই জীবন অশান্ত

সূর্য উঠা ভোরে এখন নেই কোনো কলরব রাত জাগা সবাই এখন বড়ই ক্লান্ত। 


নতুন কিছুর প্রত্যাশায় একটুখানি অন্যরকম প্রচেষ্টা হয় তো বা ব্যতিক্রম

নগর থেকে বন্দর, ঘাট থেকে মাঠ সবখানেই দ্বিধাকে করেছে অতিক্রম,

নিশ্চুপ থাকা নীল রঙা প্রজাপতিগুলো অচেনাই রয়ে যায় সারজীবন ধরে

নীরব থেকে সরব হওয়ার সুযোগ হারিয়ে বারবার অনুশোচনায় পুড়ে।


আলো আঁধারের বারংবার গল্পগুলো এখন হয়ে গেছে পুরোনো

আংশিক জাগ্রত ছেলেগুলো অহেতুক চিন্তায় হয়ে গেছে পুরোনো,

আড়ালে থাকা কান্ডারীর দল এখনও নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত

আজও সামনে থাকা দলের কাছে নবজাগরণের দ্বায়িত্ব ন্যস্ত।


আঁধারের জটলায় নিশ্চুপ অঙ্কন

রাত পোহালেই নতুন দিনের শুরু, নতুন করে জীবন অঙ্কনে পুরনো তুলির ছোঁয়া

রোদেলা দিনে এক পশলা বৃষ্টিতে, ভেজা ছবিগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে মিলিয়ে যাওয়া, 

রিক্ত অনুভবে সিক্ত চোখ বিবর্ণ, বিক্ষিপ্ত, বেমানান, বিমর্ষ এবং আরও বর্ণনাতীত

রাত্রির শেষ ভাগে তবু আশা, হবে অন্যরকম দিনের শুরু থাকবে না পুরনো অতীত। 


খোলা পথে হঠাৎ হালকা বাঁক নির্জীবতার মাঝে চঞ্চলতার আবছা আলো

খেয়ালি বিকেলে বেখেয়ালি বিচরণ, জন্মায় হঠাৎ আতঙ্ক শূন্যতার আশঙ্কা,

খবরবিহীন অচীন বন্দরে ঘুম আসে আর সব নিশ্চুপ হয়ে যায়

খেয়া ঘাটের নয়া মাঝি দিক হারিয়ে অচেনা সন্ধ্যায় হারিয়ে যায়।


জীবনের গল্পগুলো হয়তো বা অল্প করে দাগ কাটে ব্যস্ত মানুষের মনের গহীনে

জীর্ণ শরীরে রাত জাগা জোনাকির পুরো সকাল কাটে ঘুমে, ঘুম ভাঙ্গে মধ্যাহ্নে, 

জড়িয়ে ধরার কান্নার আঁকুতি অনুভূত হয় ব্যর্থতার পরে জীর্ণতার আক্রমণে

জটলা লেগে যাওয়া জীবনে বিষণ্ণতা কুঁড়ে কুঁড়ে খায় সকাল বিকাল কিংবা অপরাহ্নে। 


আনন্দের বর্ষাধারা আর বর্ষে না মৃতপ্রায় এ শহরে, যেখানের পঁচে গলে গেছে মানবতা

আঁধারের মহাউৎসবে আলোর ঝলকও আজ দুর্লভ, সুলভ শুধু আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতা, 

আলোবিহীন চত্বরে অহেতুক মানুষের মূল্যবোধের বুলি মুখ থুবড়ে পড়ে ব্যস্ততম সড়কে

আপ্রাণ মানবতাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা মানুষগুলো ব্যর্থ, আজও আবৃত মোড়কে।

মধ্যদুপুরে মহাচিন্তায় জীবনের আবেগগুলো

ইচ্ছেরা ডানা মেলে সাত সমুদ্দুর তের নদীর ওপারে বিচ্ছিন্ন বোধের প্রচ্ছন্ন মায়ায়

ইন্দ্রিয় পরাজয়ে সক্রিয় মূল্যবোধও আজ ঐ দূর পাহাড়ের সরু উপত্যকায়,

ইতল বিতল আবেগগুলো অগোছালোভাবে ফিরে আসে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই প্রান্তরে

ইচ্ছে হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য দৌড়ানো থামিয়ে হয়ে যাই ভবঘুরে।


মহাকাল ধরে প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্র নিদ্রাতে যাওয়া অপেক্ষায় বসে আছে অসহায়

মহাকাশ ছাড়ি নিখুঁত কালো শূন্যতা পাড়ি দিয়ে অনন্ত অসীম পাড়ে নিঃশ্বাস ছাড়ি,

মহাসাগরের জলরাশি মাঝে ডুবে থাকা অস্তিত্ব বাস্তবতার নিরিখে মহাচিন্তিত

মহাচিন্তায় ডুবে থাকায় সবটুকু শক্তি নিঃশেষ করে সৃষ্টি করে মহাশূন্যতা।


জাগতিক বাস্তবতায় জমকালো আয়োজনের আড়ালে মুখ লুকিয়ে চাপা কষ্ট

জগতের মিথ্যে প্রলোভনে হতাশাগ্রস্থ নির্জীব জনপদে ইচ্ছেগুলো হয় নষ্ট, 

জনপথে আর দুষ্টু বালকদের ভিড় নেই, নেই স্বপ্নের কারিগরদের আনাগোনা

জীবনের মধ্যাহ্নে অদ্ভুত লাগে সব, চেনা সব কিছুও আজ খুব অচেনা। 


মিলিয়ে যাওয়া রংধনুর অনিন্দ্য সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে জীবনকে নিয়ে শত ভাবনা

মিশে যাওয়া সমুদ্রের জলে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলা ছিলোনা কখনো ফেলনা, 

মধ্যদুপুরে শত ক্লান্তির পরে এক চিলতে অবসরে নিজেকে লাগে বড্ড একলা

মিথ্যে স্বপ্নে বেঁধো না আশায় বুক, হঠাৎ একদিন থমকে যাবে সব জাগতিক খেলা। 

ক্ষণিকের ভাবনায় কল্পনার আঁকিবুঁকি

জাগতিক হাজারো প্রশ্নের ভীড়ে উৎসুক নবীনের ঝাঁক হারিয়ে যায় বাস্তবতার ব্যবধানে

জীবন পুরোটাই মায়া, মায়ার আড়ালে থাকা নির্মমতা পুনরায় বাস্তবে ফিরিয়ে আনে,

জীবন্ত প্রত্যাশার ভরসায় হোচট খেয়েও পুনরায় ফিরে আসা যায় চমৎকারভাবে

জনতার মাঝে ক্ষণিকের হতাশাকে ছুড়ে ফেলে ফিরে আসার গল্পগুলো স্মরণীয় হয়ে রবে।


মেঘলা দিনে একলা মনে মৃদু বাতাসের মমস্পর্শী অনুভবে মস্তিষ্কের অনুরণ

মিটিমিটি করে জ্বলা ভাঙ্গা ল্যাম্পম পোস্টের নিচে সুবোধ বালকদের  বিচরণ,

মনের মাধুরিতে ভাবনা বিলাসে চেতনার মেঘ থেকে এক পশলা বৃষ্টির ঝুম

মৃত তারুণ্যের শহরে বিলুপ্ত হওয়া চায়ের আসর থেকে হঠাৎ ভেঙে যায় ঘুম।


কভু কথা বলার কলরব, ক্লান্তের কদর্যে কিঞ্চিৎ বিচ্যুতি কপালে চিন্তার ভাঁজ

কালের বিবর্তনে স্থিমিত হওয়া কাঠবিড়ালির কষ্টে  সকলের মুখ গম্ভীর আজ,

কোনো এক কাননে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ভাবিয়ে তুলছে কবিকে নিরুত্তাপ ভোরে

কল্পনায় ব্যস্ত করিডরে কৃষ্ণচূড়াটা হারিয়ে পড়ে আছে এক কোণে সকলের অগোচরে।  


আমাদের ছোট্ট গায়ে ঐ দূর পর্যন্ত ছোট্ট ছোট্ট হাজারো স্বপ্নের ছড়াছড়ি

আঁধার রাত্রি শেষে গল্পের আসরে গল্পকারের গল্পগুলো নিয়ে হয় বাড়াবাড়ি,

আপন মনে রঙিন কাগজে বানানো লাল নীল প্রজাপতি যেন চলে যায় স্বপ্নপুরী

আঁকিবুঁকি স্বপ্নের রাজ্যে বাস্তবতারা নিস্তেজ আজ, চলে বিচ্ছিন্ন কোতয়ালের বাহাদুরি।

নিকষকালো যন্ত্রণায় ফিরে আসা স্মৃতি

ফিরে আসে ফিরিঙ্গির দল ফর্সা আলোয় ফেরারি হয়ে ফুলতলীতে বাসা বাঁধে

ফসকে যাওয়া সুযোগগুলো আঁকড়ে না ধরতে পারার আফসোসে কান্না আসে,

ফটক পেরিয়ে বিশাল অবয়ব, সুক্ষ্ম বিলম্বে হাতছাড়া হয়ে মুখ ফসকে ঝরে পরে ক্ষোভ

ফিরতি বাসে ফেরত এসে জীবনের প্রয়োজনে নতুন স্বপ্ন আসে তেপান্তরের পানে।


শীর্ণ অস্তিত্ব উতপ্ত, বিছিন্ন মস্তিষ্ক ক্ষোভ ছড়িয়ে পুনরায় হয় ধড়ে প্রতিস্থাপিত

শিউরে উঠা নিশ্বাসগুলোকে কিছুক্ষণ শ্বাসরোধ করে ,হয় অস্থায়ী প্রশান্তি অনুভূত,

শিশির কণার বিন্দু বিন্দু জলের মতন রক্তের ফোঁটার স্থলন যন্ত্রণাকে করে প্রশমিত

শ্যাওলা জমা হৃদপিণ্ডে প্রচন্ড চাপে বিশৃঙ্খল ধমনী চাপ পথ চলাকে করে স্থিমিত।


নিকষকালো অন্ধকারে নিলীমায় ধীর হয়ে আসা মেঘগুলো নোঙর তুলে

নিদ্রার ঘোরে নেমে আসা পায়রারা অসীমে যাওয়ার নেশায় আবারো ডানা মেলে,

নিরিবিলি পার হয়ে যায় সময়, দুঃখ যন্ত্রণাবোধ, অকারণে ক্রোধ এই ভুবনে

নীলিমার নীল কালো হয়, তবুও অপ্রত্যাশিত সম্ভাবনার ঝিলিক এই শহরে


সাফল্যের বেড়াজালে দুই যুগ পরেও নিজেকে চেনার সময় হয়ে উঠে না

সময়ের মায়াজালে বহু প্রহর কেটে যায় তবুও নিজেকে নিয়ে ভাবা হয় না,

সকালের তাপবিহীন রোদ মেখে ভাবনা শুরু হয় কিন্তু জীবনের হিসাব তো মিলে না

সেরা স্মৃতি নিয়ে লেখা গল্পের ভূমিকা লেখা শেষ হলেও মূল প্লটে যাওয়া হয় না।

ব্যর্থ বিপ্লব

বিপ্লবের রোমান্টিকতা শেষে রইল পড়ে এক রাশ ছাই। সব কিছুই আগের মতন আছে শুধু আজ তোমরা নাই। বিপ্লবের মোহে বন্দুকের সামনে বুক পেতে রইল যুবক, নিকষক...